গল্পঃ সাদা পরী।
গল্পঃ সাদা পরী
পর্ব নংঃ ১.
সবে মাত্র ডিপ্লোমা কমপ্লিট করলাম। ইন্টার্নি ও শেষ করলাম। আপাতত তেমন কিছুই করছিনা। বাইক নিয়ে রাস্তা মাপি আরকি। অনেক দিন হয়ে গেলো বি এস সি টা করা দরকার। কিন্তু বাংলাদেশে করার ইচ্ছে নেই। তাই বাহিরে করার ইচ্ছে। আমার ইচ্ছে ছিলো নিউজিল্যান্ড যাওয়ার কিন্তু অনেকদিন ছিলাম বসে টুকটাক কাজ করতাম শিপইয়ার্ড এ। শেষমেশ ঠিক করে।ফেললাম। নেট এ একটা ভালো কলেজ সিলেক্ট করলাম আর সেটা নিউজিল্যান্ড এই। বাসা থেকে বের হলাম বিদায় নিলাম। আব্বু আমার সাথে এয়ারপোর্ট এ এসেছিলেন এগিয়ে দিতে। রাত ৯ টায় ফ্লাইট। ফ্লাইটের কিছুক্ষন আগেই আব্বুকে বিদায় জানিয়ে ভিতরে গেলাম।প্লেন তখনও যাত্রা শুরু করেনি।আম্মুর সাথে কথা বলে নিলাম আমি ঠিক আছি। সন্তানের জন্য বাবা মায়ের চিন্তার অভাব নেই তাই কথা বলে তাকে নিশ্চিন্ত করলাম। তার কিছুক্ষন পরেই যাত্রা শুরু।জীবনের প্রথম প্লেন যাত্রা সজাগ থেকেই কাটিয়ে দিয়েছিলাম।
.
শেষমেশ পৌছালাম নিউজিল্যান্ড এর ওয়েলিংটন এয়ার পোর্টে। সেখানে বের হতেই একজন আমাকে মেহেদী বলে ডাক দিলো তাকাতেই দেখলাম একজন লোক মোটামুটি বয়স ৪৫+ হবে। উনি বাংলাদেশী না নিউজিল্যান্ড এর বুঝতেই পারছিলাম না চেহারা দেখে। তবে হ্যা চিনতে পেরেছি উনি আকবর আংকেল। আব্বুর ছোটবেলার বন্ধু। ছবিতে দেখিয়েছিলেন। তবে উনি এখন দেশে যান না। আর গিয়েও বা কি করবেন। বাবা মা নেই আপন বলতে আমার বাবাই তার সবচেয়ে কাছের মানুষ। এইসব ভাবছি আর উনি জিজ্ঞেস করলেন আরে বাহ! তুমি তো অনেক বড় হয়ে গেছো। আমি উত্তর দিলাম হ্যা আপনিও।
তিনি এক গাল হেসে নিলেন। তার পরে গাড়িতে উঠলাম। আর তার বাসায় গেলাম। যেহেতু মেস ঠিক করা হয়নি তাই তাদের বাসায়ই গেলাম।
.
বাড়িটা দেখতে বেশ সুন্দর এখানে এরকম একটা বাড়ি থাকা মানে অনেক বড় ব্যাপার। বাসায় ঢুকতেই তার স্ত্রীকে দেখে অবাক। উনি নিউজিল্যান্ড অধিবাসী। আংকেল এই আন্টিকে বিয়ে করেই এখানে থাকছেন। অনেক ফর্সা। আমি তাকে সালাম দিলাম। উনি কি যেন বললেন কিন্তু বুঝলাম না। আংকেল আমাকে উপরের একটি একটি রুমে নিয়ে গেলেন আর রেস্ট নিতে বললেন।
.
শুয়ে আছি বিছানায় রুমটা অনেক সুন্দর এত সুন্দর এর আগে আমি দেখিনি। দেয়ালে অনেক গুলো প্রকৃতির ছবি যা সত্যিই অসাধারন। রুমটা ভালো করে দেখার জন্য উঠে ঘুরে ঘুরে দেখছি। পাশের জানালা দেখে দেখা যাচ্ছে একটি ছোট নদী। এরকম একটা রুম স্বপ্নেও হয়ত বা দেখিনি।এভাবেই দেখতে দেখতে কেটে গেলো অনেক সময়। আবার বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে পড়লাম।
.
হঠাৎ দরজায় শব্দ খট করে উঠল ভয় পেয়ে তাকালাম দেখলাম একটি মেয়ে উকি মারলো আমি তাকাতেই গায়েব। কি ফর্সা রে বাবা আমার চামড়ার সাথে মিলালে মনে হবে দুধ আর চকলেট। তার মুখের রঙ এত ফর্সা। আমিতো শ্যামলা থেকে একটু ফর্সা তাহলে একদম কালো মানুষের সাথে মিলালে কিরকম লাগবে? পাগলের মত হেসে দিলাম। এইসব ভাবতে ভাবতে নিচ থেকে ডাক পড়ল খাওয়ার জন্য। খিধেও লেগেছে প্রচুর। যাওয়ার সময় খেয়াল পড়ল একটা ছবিতে। আরে এই তো সেই মেয়েটি। আরে ভুত দেখলাম নাকি? প্রথমে তো ভেবেছিলাম এমনি ছবি যেগুলো আরো অনেক দেখা যায়। বুঝে না ওঠার আগেই আরেক ডাক পরায় চলে গেলাম নিচে পেট পুজোর উদ্দেশ্যে।
Writer: Mehedi Mehran
Comments
Post a Comment